বিজ্ঞাপন




বাবা-মা এবং বউয়ের সঙ্গে সব পুরুষের সম্পর্ক সমান হয় না। এবার থেকে বাবা-মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারবে স্বামী। ভারতের সুপ্রিমকোর্টে হিন্দু বিবাহ আইনে এই বিধান জারি করা হয়েছে। একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিন অনিল দাভে এবং জাস্টিন এল নাগেশর বলেন, বৃদ্ধ বাবা ও মা ছেলের ওপর নীর্ভরশীল।


আর সেই ছেলেকে যদি জোড় করে বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করতে চেষ্টা করা হয় তাহলে যদি ছেলে চায় সে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারে। বর্তমান দিনে প্রায় বেশীরভাগ পরিবারে দেখা যায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বউ পরিবারের অন্য লোকেদের সাথে মানিয়ে নিতে পারেনা।


রোজের পারিবারিক অশান্তি থেকে বাচতে বাধ্য হয়ে ছেলেটি বাবা-মাকে ছেড়ে বউয়ের সাথে আলাদা থাকতে শুরু করে। সেখানে কিছু করার না থাকায় ছেলেটির বাবা-মাও বাধ্য হয়ে ছেলের খুশির দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকে।


১৪ পাতার রায় বিচারপতিদয় বলেন, ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিস্তর পার্থক্য আছে। সেখানকার নিয়ম এখানে চালানো যাবে না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে শেষ বয়সে দেখা ছেলে-মেয়ের কর্তব্য।


বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন স্ত্রী। যদি বিশেষ ক্ষেত্র না হয় তবে স্বামীকে অভিভাবকদের থেকে পৃথক করার জন্য মানসিক এবং শারীরিক নির্জাতন করলে বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।’


রায়ে আরো বলা হয়, ‘অতীতে দেখা গেছে স্বামীকে চাপ দিতে স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে। যদি কোন ক্ষেত্রে তিনি মারা যান সেই ক্ষেত্রে তার স্বামীকে আইনি সমস্যায় পরতে হয়। তার কেরিয়ার, পরিবার, সামাজিক সম্মান সব কিছু শেষ হয়ে যায়। এসবকিছুর কথা ভেবে শেষে তাকে নতি স্বীকার করতে হয় চাপের বশে। এইসব ঘটনা থেকেই এই রায়ের বিধান করা হয়েছে।’


সুপ্রিম কোর্ট হল ভারতের সবচেয়ে বড় আদালত। এই আদালত বিচারবিভাগীয় অধীকরণ ও ভারতের সংবিধানের অধীনে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পর্যালোচনার অধিকারপ্রাপ্ত। ভারতের প্রধান বিচারপতি ও অপর ৩০ জন বিচারপতিকে নিয়ে ভারতের সর্বচ্চো ন্যায়ালয় গঠিত।


সর্বোচ্চ আপিল আদালত হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ ন্যায়ালয় প্রাথমিকভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উচ্চ ন্যায়ালয় ও অন্যান্য আদালত ও ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে।


ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রসারিত মৌলিক এক্তিয়ার সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত কর্তিক ঘোষিত আইন ভারতের সকল আদালত মেনে চলতে বাধ্য।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন