শতবর্ষের মাত্র এক ধাপ আগে থেমে গেলেন ব্রিটেনের প্রিন্স ফিলিপ, শোকের ছায়া রাজপরিবারে। ৯৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ব্রিটেনের রাজপরিবারের সদস্য তথা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। কিছুদিন ধরেই তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। আজ বাকিংহ্যাম প্যালেসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রিন্স ফিলিপ এবং কুইন এলিজাবেথের চারটি সন্তান, আট নাতি-নাতনি এবং দশ পৌত্র রয়েছে।শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে মহারানী তার প্রিয় স্বামী রয়্যাল হাইনেস প্রিন্স ফিলিপ, এডিনবার্গের ডিউকের মৃত্যুর ঘোষণা করেছেন। তিনি আজ সকালে রানীর অফিশিয়াল আবাসস্থল উইন্ডসর ক্যাসলে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।” রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
ডিউক অব এডিনবরার প্রতি শ্রদ্ধায় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি। সময় মতো সব কিছু প্রকাশ্যে আনা হবে। তবে জীবিত কালেই প্রিন্স ফিলিপ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, সাড়ম্বরপূর্ণ শেষকৃত্য চান না তিনি। ওয়েস্ট মিনিস্টার হলেও সমাধিস্থ হতে চান না বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই মতো ফ্রগমোর কটেজের বাগানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হতে পারে বলে রাজ পরিবারসূত্রে খবর। প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে রাজকুমারী এলিজাবেথকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তখন থেকে এ পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। তিনি ব্রিটিশ ইতিহাসের দীর্ঘতম রাজা রাণী।
শতবর্ষের মাত্র এক ধাপ আগে থেমে গেলেন ব্রিটেনের প্রিন্স ফিলিপ, শোকের ছায়া রাজপরিবারে। উল্লেখ্য,অসুস্থ বোধ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফিলিপকে কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এক মাসের চিকিত্সা শেষে ১৬ মার্চ হাসপাতাল ছেড়েছিলেন তিনি।সব মিলিয়ে এ দফায় প্রিন্স ফিলিপ টানা ২৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অতীতে কখনো তিনি এত লম্বা সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকেননি। তাঁর মৃত্যুতে কার্যতই বর্ষীয়ান অভিভাবককে হারাল ব্রিটেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন