বিজ্ঞাপন

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: কোটাল ও ভারী বর্ষণে রূপনারায়ণের জল উপচে প্লাবিত হল হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা। নদীর জল গ্রামের প্রায় ষাট শতাংশ এলাকা প্লাবিত করায় কৃষকরা বড়োসড়ো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ইতিমধ্যে জয়পুর থানার এই দ্বীপ এলাকার ধান, সবজি ও পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। শনিবার সকালে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় জিবি চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পলাশ মাজি, পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ মানিক মিদ্যা ও জলধর চক্রবর্তী। সুকান্তবাবু জানান রূপনারায়ণ নদে জলস্ফীতির কারণে দ্বীপাঞ্চলের নিচু অংশগুলি প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে ধান, পাট, সবজি চাষের পাশাপাশি মাছ চাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
তিনি সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে সরকারিভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরে এনেছেন। এলাকার কৃষকরা জানান অধিকাংশ কৃষকই ঋণ নিয়ে চাষবাস করেছিলেন। এবছর নদীর জলে চাষের যা ক্ষতি হয়েছে সরকার থেকে সহযোগিতা না পেলে তাঁরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। একইভাবে রূপনারায়ণ ও দামোদরের জলে প্লাবিত হয়েছে শ্যামপুর থানার নবগ্রাম ও বানেশ্বরপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। জোয়ারের সময় এইসব এলাকাগুলি কোথাও এক হাঁটু কোথাও এক কোমর জলে ডুবে যাচ্ছে। রবিবার আরও একটি নিম্নচাপের সতর্কবার্তা থাকায় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বাগনান থানার দ্বীপামালিতা ও নসিবপুর এলাকার রূপনারায়ণের ভাঙ্গন রোধে সেচ দফতরের উদ্যোগে জোর কদমে কাজ চলছে। সেই কাজ পরিদর্শনে যান লোয়ার দামোদর কনস্ট্রাকশন ডিভিশন-২ নির্বাহী বাস্তুকার রঘুনাথ চক্রবর্তী, বাগনান-১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস, বাগনান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস, সমাজসেবী সেলিমূল আলম প্রমুখ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন