নয়াদিল্লি: পাল্টা জবাব দিতে ভারত কতটা প্রস্তুত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে একঘরে করতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে একাধিক দেশের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে ভারত।
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুক্রবারই পি-5 দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ভারত। জাপান এবং ইউরোপিয় দেশগুলি ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে চিনও। সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের কত বড় ভূমিকার আছে, সেটা তুলে ধরতে শুরু করেছে ওইসব দেশগুলির কাছে।
পি-5 দেশগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের পাঁচ সদস্য, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চিন।
- Advertisement -

এদিকে, শুক্রবার সকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠক শেষেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি৷ সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ ইন্ধন দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পাকিস্তানকে একঘরে করার উদ্যোগ ভারত কূটনৈতিরস্তরে নেবেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী৷
১৯৯৬ সালে ভারত প্রতিবেশী পাকিস্তানকে বাণিজ্যক্ষেত্রে ‘মোস্ট ফেভারড নেশনে’র তকমা দেয়৷ ২০১৬ সালে উরি হামলার পর সেই তকমা থাকবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক হয়৷ তবে সেবার এই তকমা প্রত্যাহার করা হয়নি নয়াদিল্লির তরফে৷ তবে পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের দেওয়া ‘মোস্ট ফেভারড নেশনে’র তকমা ইসলামাবাদের থেকে কেড়ে নেওয়া হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷
অন্যদিকে, কাশ্মীরের হামলায় নিন্দা জানালেও মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দিতে এখনও নারাজ চিন।
কাশ্মীরের ভয়াবহ হামলায় মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মহম্মদের হাত থাকার প্রমান সামনে এলেও এখনই মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা ভাবছে না চিন। পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হয়েছেন অন্তত ৪২ জন জওয়ান । এর আগেও একাধিকবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ও ভারতের বিভিন্ন পদক্ষেপকে সমর্থন করেনি চিন। তাই ভারতের আবেদন রেখে এবার চিন কি সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই দেখার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন